বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যার ঘটনায় পুলিশের টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (আইসি) লিয়াকত আলীসহ কেন্দ্রের সকল সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
আজ রবিবার তাদেরকে ক্লোজড করে জেলা পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশের ওই তদন্ত কেন্দ্রে পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ২১ জন কর্মকর্তা ও কনস্টেবল রয়েছেন।
শনিবার রাত ও আজ রবিবার সকালে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সকল সদস্য কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনে এসে যোগ দেন।
এর আগে অবশ্য ঘটনার রাতেই উক্ত তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে কেন্দ্র থেকে জেলা পুলিশ লাইনে নিয়া আসা হয়।
পুলিশের তদন্ত কেন্দ্রটি তাৎক্ষণিক খালি হয়ে পড়ায় টেকনাফ থানার অরুণ সরকার নামের একজন উপ-পরিদর্শক আজ রবিবার বিকাল থেকে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। সেই সঙ্গে আর্মস ব্যাটালিয়ানের কয়েকজন সদস্য তদন্ত কেন্দ্রটি পাহারা দিচ্ছেন।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে (৩১ আগস্ট) কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে কক্সবাজারমূখী সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদের প্রাইভেট কারটি টেকনাফের বাহারছরা শাপলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পৌঁছালে গাড়িটি তল্লাশি করা নিয়ে তর্ক হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে এসময় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদকে ওপর দিকে হাত তুলতে বললে তিনি যথারীতি হাত তুলে তিনি বলেন, আপনারা উত্তেজিত না হয়ে আমার সম্পর্কে খোঁজ নিন।
কিন্তু পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী মেজর সিনহার এসব বক্তব্য না শুনে অশ্রাব্য একটি গালি দিয়ে বুকে গুলি চালিয়ে দেন। কক্সবাজারের পুলিশের দাবি ঘটনার সময় মেজর সিনহা পুলিশের প্রতি পিস্তল তাক করেছিলেন। এ কারণেই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পরিদর্শক লিয়াকত গুলি করেন।
এ ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাজাহান আলিকে প্রধান ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও রামু সেনানিবাসের জিওসির একজন প্রতিনিধিকে সদস্য করে গত ১ আগস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে অবহিত হতে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি (অপারেশন্স এন্ড ক্রাইম) জাকির হোসেন বর্তমানে কক্সবাজার অবস্থান করছেন।